নিজস্ব প্রতিবেদক :
ত্রিশাল উপজেলার বৈলর মঠবাড়ী বড়পুকুর পাড় এলাকায় এতিম কিশোর রবিউল হত্যা মামলার আসামী মো: মিন্টু মিয়া ও আব্দুর রহমান বাবলু কর্তৃক বাদী মো: জাকির হোসেনের ভগ্নিপতিকে পথরোধপূর্বক গালিগালাজ করে মারধর ও হত্যার হুমকি প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ১৮ মে ২০২৩ তারিখ উজ্জল মিয়া গং দোকান হতে চুরির অভিযোগ তুলে এতিম কিশোর রবিউল’কে জনসম্মূখে নির্মমভাবে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য অজ্ঞান অবস্থায় পুকুরে ফেলে দেয়। পরে উপস্থিত মানুষেরা রবিউলকে পুকুর থেকে তুলে আনে। আসামীদের বাঁধার মূখে বিনাচিকিৎসায় একসপ্তাহ থাকার পর শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হলে ২৬ মে ২০২৩ তারিখ সিএনজিযোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য স্বজনেরা রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে এতিম কিশোর রবিউল মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়ে। এসময় জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে ত্রিশাল থানা পুলিশ এসে রবিউলের লাশ থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তিতে লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নির্মম এই হত্যাকান্ডে রবিউলের মামা মো জাকির হোসেন একই গ্রামের মো: উজ্জল মিয়া’কে প্রধান আসামী এবং অন্য ০৪ জনের নাম উল্লেখ করে ত্রিশাল থানায় পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২/৩৪২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
বিভিন্ন সময়ে পুলিশ মামলার আসামী আব্দুর রহমান, মো: কামাল হোসেন লিটন, মো: মিন্টু মিয়া ও মো: কাজল মিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। পরবর্তিতে গ্রেফতারকৃত সকল আসামী একে একে জামিনে বের হয়ে আসে। বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছে।
সম্প্রতি ত্রিশাল থানা কর্তৃক উক্ত হত্যা মামলার চার্জশীট ময়মনসিংহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে (সিএস নং ১৮, তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪)। বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। চার্জশীট দাখিলের পর হতে আসামীপক্ষ বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। যার ধারাবাহিকতায় গত ০২ মার্চ ২০২৪ তারিখ দুপুর ১২টার দিকে মঠবাড়ীস্থ কাশেম আলীর বাড়ীর সামনে মামলার বাদী মো: জাকির হোসেন এর ভগ্নিপতি মো: মোখলেছুর রহমানকে দেখে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে যে, হত্যা মামলাটি আপোষ মীমাংসা না করলে বা আদালত হতে প্রত্যাহার না করলে তাকে এবং মামলার বাদী ও অন্যান্য নিকটাত্মীয়কে সুযোগ পেলে মারধর, জখমসহ হত্যার হুমকি প্রদান করে।
এর প্রেক্ষিতে রবিউল হত্যা মামলার বাদী মো: জাকির হোসেন এর ভগ্নিপতি মো: মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে গত ০৩’মার্চ ২০২৪ তারিখ ত্রিশাল থানায় জিডি করেছেন (জিডি নং ১১৬)। বর্তমানে বাদীপক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান। তারা আসামীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্তৃক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান।