সামদানি হোসেন বাপ্পি, ময়মনসিংহ :
২১ ফেব্রুয়ারি। বিশ্বজুড়ে মানুষের নিজ নিজ মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার অঙ্গীকারের নাম। আজ সেই অমর একুশে, মহান শহিদ দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি মানে বিশ্বে মাতৃভাষার জন্য নির্ভয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দেওয়ার প্রথম ইতিহাস সৃষ্টির দিন। বাঙালির ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় শোকের দিন। এ ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ বিভাগে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ যথাযথ মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে ময়মনসিংহ নগরীর কেন্দ্রীয় টাউন হলের শহিদ মিনারে প্রথমে ভাষা শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ময়মনসিংহ সদর এমপি মোহিত উর রহমান শান্ত । এরপর একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইউসুফ আলী, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।
জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম ও সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ-সময় দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়, আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণীর পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহিদদের প্রতি।
এদিন শহিদদের স্মরণে বিভাগের সকল সরকারি ও আধা-সরকারি ভবনসমূহে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
এ দিবস উপলক্ষে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালায় রচনা/চিত্রাংকন ও কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদশর্ন, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় উপাসনালয় ভাষা শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। আনন্দমোহন কলেজ চত্বর, সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজ চত্বর, মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণসহ বিভিন্ন সড়ক দ্বীপসমূহে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্তৃক দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করা হয়। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণের অংশগ্রহণে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বিভিন্ন নৃত্যানুষ্ঠান পরিচালিত হয়।
এছাড়াও বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।