শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানব গড়ার কারিগর। সেখানে যদি হয় অনৈতিক কর্মকান্ড তাহলে বিদ্যা শিখবে কিভাবে! এরই মাঝে জানা যায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চর আনন্দীপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠিত রেনেসাঁ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন এর নামে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়।
২০২২/২৩ অর্থবছরে উপজেলা থেকে সরকারি ভাবে শিক্ষা উপকরণ, আসবাবপত্র ক্রয়ের জন্য ৫০ হাজার টাকার একটি অনুদান দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় ভাউচার জমা হয়েছে কিন্তু কোন শিক্ষা উপকরণ বা আসবাবপত্র ক্রয় করা হয়নি। প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি লগ্ন থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত হিসাবপত্রে রয়েছে গড়মিল।
আরো জানা যায় প্রধান শিক্ষিকা বাকি শিক্ষক/শিক্ষিকাদের সাথে ভালো ব্যবহার বা আচরণ করেন না। এমনকি শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন বড় বড় নেতাদের দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এমনকি চাকরি চলে যাওয়ার হুমকিউ প্রদর্শন করা হয়।
এরই মাঝে এনটিআরসি এ কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ৩জন শিক্ষক/শিক্ষিকাকে জোড় করে ভয়ভীতি দেখিয়ে পদত্যাগ করাতে বাদ্য করা হয়। কিছুদিন আগে মিডিয়ায় প্রচারিত হয় অফিস সহকারী ধীজেন্দ্র চক্রবর্তীকে বহিরাগত সন্ত্রাসী ধারা জোড়পূর্বক ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বহিষ্কার করে তার স্থলাভিষিক্তে প্রধান শিক্ষিকার পছন্দ মত নতুন একজনকে খন্ডকালিন নেওয়া হয়েছে।
আরো জানা যায় ২০১৮ সাল থেকে অদ্যবধি নিয়মিত স্কুলের কমিটি নেই। নিজ ইচ্ছে মত মাঝে মধ্যে এডহক কমিটি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রধান শিক্ষিকার নামে।
গত বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ ২০২৩) প্রধান শিক্ষিকা কর্তৃক সহকারী প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নারকে অপমানিত করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি স্কুল থেকে চলে যেতেও বলা হয়।
এক সময় চরাঞ্চলে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নামে পরিচিত ছিল প্রচুর ছাত্রী ছিল। বর্তমানে চলমান শিক্ষা বর্ষে ছাত্রীদের উপস্থিতি সংখ্যা খুবই কম। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় দেখা যাবে স্কুল থাকবে, চেয়ার, টেবিল থাকবে, শিক্ষা উপকরণ থাকবে, শিক্ষক থাকবে, কিন্তু শিক্ষার্থী থাকবেনা।
এ বিষয়ে উক্ত স্কুলের শিক্ষক/শিক্ষিকাদের অভিযোগ তারা বলেন এই পরিস্থিতির জন্য প্রধান শিক্ষিকায় দায়ী। প্রধান শিক্ষিকার স্বেচ্ছাচারিতার করণেই স্কুলের বর্তমান সমস্যার সৃষ্টি।
এভাবে চলতে থাকলে দেশের শিক্ষা খাতে বড় ঝুঁকি পড়বে শুধু এ প্রতিষ্ঠানই নয় এরকম ধরনের যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাবে তা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি মনে করেন সুশীল সমাজ ও অভিভাবকবৃন্দ।